অপরূপা
পর্ব--২
সাহিত্য ডাইরি
হো'টে'লে ব্যবসা করে এই মেয়ে! ও কেমন করে আমার বউ হতে পারে মা? (কাব্য)
মা: এই বেয়াদব কি বলিশ তুই এই সব হ্যা।
কাব্য: মা বিশ্বাস করো আমি এই মেয়ে কে হো'টেলে দেখেছি। ও দেহ ব্যবসা করে!
মা : তার মানে তুই এই সব কাজে লিপ্ত কাব্য?
কাব্য : আমি আবার কিসে লিপ্ত হলাম। বুজলাম না তোমার কথাটি?
মা : তুই কেমন জানিস পরি হো'টেলে ব্যবসা করে হ্যা।
কাব্য : আসলে হয়েছে কি মা...?
--কথাটি শেষ হতে না হতেই পরি বলে উঠে?
পরি : মা আপনার ছেলে আমাকে এই ভাবে মিথ্যা অপোবাদ দিচ্ছে। এটা কিন্তু আমি মানতে পারবো না!
কাব্য : এই মেয়ে এক দমেই নাকট করবি না। তোর সাথে আজকেই আমি....?
মা : এই আজকেই কি হ্যা।
পরি : আপনার ছেলে যে এমন বিয়ের আগে কেনো বলেন নাই। আমি বাবাকে ফোন দিতেছি । বাবা এসে আমাকে নিয়ে যাবে।
মা : না মা ফোন করা লাগবে না। আমার মনে হয় কি জানত কব্য তোমার সাথে মজা করতেছে।
কাব্য : মা আমি সত্যি মজা করতেছ না। আমি সিরিয়াস এই মেয়ে খারাপ কাজে নিয়জিত আছে।
মা : ঠাসসস! ঠাসসস! ঠাসসস! আর একটি যদি বাজে কথা বলিশ আমার থেকে খারাপ কেউ হবে।
--এটা বলেই কাব্যের মা রুমের বাহিরে এসে। দরজা লক করে দেয়!
কাব্য : এই মেয়ে তোমার সত্যি পরিচয় টা দাও।
পরি : আশ্চর্য আমি আবার কিসের পরিচয় দিবো হ্যা। আমার পরিচয় হলো আমি পরি। আর এখন আপনার বউ।
কাব্য : না আমি এটা মানতে পারবো না। তুই আমার বউ হতে পারিশ না।
পরি : আপনি কি আমার সাথে মজা করেন।
কাব্য : মজা করবো কেনো হ্যা। সব ভূলে গেলি আমার সাথে যে হো"টেলে শারী-রিক সম্পর্ক করে 3 হাজার টাকা নিলি।
পরি : আপনি যদি আর একটি বাজে কথা বলেন তো খুব খারাপ হবে।
কাব্য : তোর মতো খারাপ মেয়ের সাথে আমি থাকতে পারবো না। আমি তকে ডিভোর্স দিবো।
--কথাটি বলার সাথে সাথেই পরি ঠাস করে একটি থাপ্পড় দেয় কাব্য কে।
পরি : ঠাসসস! তোর অনেক কথা শুনেছি আর শুনতে চাই না। তুই কি ডিভোর্স দিবি আমি তোকে ডিভোর্স দিব। তোর মতো খারাপ ছেলের সাথে আমি থাকতে চাইনা।
কাব্য : আমি খারাপ না তুই খারাপ সেটা ভালো নিজেই তুই জানিস।
পরি : যে ছেলে দেহের চা'হিদা মেটানোর জন্যে হো"টেলে গিয়ে তৃপ্তি মিঠিয়ে আসে। তার ব্যবহার কেমন হবে সেটা আমার জানা আছে।
কাব্য : আমি ভাবতে পরলাম তোর মতো মেয়ে কে আমার মা বাব কেমন করে পছন্দ করলো।
পরি : এটা তোর সৌভাগ্য যে আমি তোকে বিয়ে করছি। যদি জানতাম তোর চরিত্র এমন আমি কখনোই বিয়ে করতাম না।
কাব্য : আমি তোর সাথে কোন কথা বলতে চাইনা। চুপ করে থাক আমি এখন ঘুম যাবো।
--এটা বলেই বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরে, সাথে সাথে পরিও গিয়ে তার পাশেই শুয়ে পরে।
কাব্য : এ মেয়ে তুই কি চাস হ্যা। তোর দেখি লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই।
পরি : লজ্জা নেই মানে।
কাব্য : লজ্জা থাকলে কি আমার পাশে এসে শুইতি। লজ্জা নেই বলেই তো পশে শুইছিস।
--কথাটি শুনা মাত্রই পরি বিছানা থেকে উঠে পরে। আর সোপায় গিয়ে শুয়ে পরে।
--কাব্যের কতো স্বপ্ন ছিলো বাসর রাত নিয়ে। এক সাথে রাতে চাদ দেখবে। দুজনে দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকবে। সব যেনো ভেশে গেলো পানিতে।
পরি : এই যে একটি কথা বলি।
কাব্য : হুমম কি কথা।
পরি : আপনি কি সত্যি সত্যি এই সব করতেছেন নাকে আমার সাথে প্রাঙ্ক করতেছেন।
কাব্য : আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে প্রঙ্ক করতেছি আমি।
পরি : ওহ ঠিক আছে।
--আবার কাব্যের মনে পরে । তার বন্ধু হাসিব কথা। কারন এই হাসিবেই বলেছিলো এই হো"টেলে এই মেয়েটা সেই সুন্দর আর অনক ভালো দেয়। ওর কথা মতোই গিয়েছিলো মেয়েটার সাথে পর"কিয়া করতে। এখন সেই মেয়ে যে নিজের বউ হবে ভাবতে পারেনি।
--আবার যদি হাসিব দেখে যে হোটে"লে ব্যবসা করা মেয়েটা আমার বউ তবে তো সব কিছু শেষ। এলাকায় মুখ দেখাতে পারবো না।
--এই সব হাজারো চিন্তা করতে করতে কাব্য ঘুমিয়ে পরে সেই রাতে।
--তো পরের দিন সকাল বেলায় পরি উঠে গোসল করে কাব্যের জন্যে চা নিয়ে আসে। কিন্তু এসে দেখে কাব্য এখনো ঘুমিয়ে আছে।
--কাব্যকে একটু জালানোর জন্যে পরি নিজের ভেজা চুল গুলো ওর মুখের উপর দিয়ে একটু নারাতে থাকে।
--ঠিক একটু পরেই কাব্য জেগে যা? ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে কাব্য বলতে থাকে।
কাব্য : এইইইই কি হচ্ছে।
পরি : কোই কিছু নাতো?
কাব্য : এক দম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবি না বলে দিলাম কিন্তু ।
পরি : আমার বয়েই গেছে আপনার কাছে আসতে।
কাব্য : যতো সব খারাপ মেয়ে?
পরি : হুম খারপেই। এখন নেন চা খেয়ে নেন। নিজের হাতে বানিয়ে নিয়ে এসেছি।
কাব্য : হহাহ হা আমি চা খাবো সেটা আবার তর হাতের.? প্রশ্নই আসে না।
পরি : ঠিক আছে না খাইলে তো জোর করতে পারি না। আপনার ইচ্ছে হলে খাবেন আর না হলে খাবেন না।
কাব্য : এতো কথা আমি পছন্দ করিন।
পরি : আপনি না করতে পারেন আমি পছন্দ করি।
কাব্য : এক দম ভালোবাসা দেখাইতে আসবি না। তোর ও ভালোবাসা কতো মানুষ যে পাইছে তার ঠিক নেই।
পরি : কাল রাত থেকে এক কথা বলেই যাচ্ছেন। আপনাকে বরিনাই আমি ওই সব কাজ করিনা। কাকে না কাকে দেখছেন আর আমাকে মিথ্যা অপোবাদ দিচ্ছেন।
কাব্য : বা নাটক ও দেখি সুন্দর করতে পারিস। তুই ত নাইকা হবি।
-ঠিক এমন সময় ডাক পরে বাহির থেকে?
--কব্য পরি খাইতে আয় দুজনে বাহিরে। ( মা )
কাব্য : ঠিক আছে মা যাচ্ছি খাইতে।
--এটা বলেই কাব্য ফ্রেশ হয়ে নেয়। আর একটু পরে দুজনে বাহিরে আসে।
--এসেই দেখে যে........
--দেখা মাত্রই কাব্য দৌরে রুমে চলে আসে....
--এই পতিতা মেয়েকেই বিয়ে করলি শেষ পযর্ন্ত কাব্য!
--কাথাটি শুনেই কাব্য নিজের রুমের দিকে দৌর দেয়। এই লজ্জা থেকে বাছার জন্যে?
--সবাই ভাবতেছেন কে এই কথাটি বললো। সেটা আর কেউ না কাব্যের বন্ধু হাসিব।
--কোন এক ভাবে হাসিব ও জানতে পেরেছে যে কাব্য বিয়ে করেছে। তাই সকাল বেলা উঠেই কাব্যের বাসায় চলে আসে। যখনি কাব্য ও পরি বাহিরে আসে। ঠিক সেই টাইমেই হাসিব দেখে ফেলে পরিকে। আর দেখা মাত্রই মুখ ফসকিয়ে ওই কথাটি বের হয়ে যায়।
--এই দিকে কাব্যের মায়ের মাথায় যেনো বর্জ পরার মতো অবস্থা। কারন কাল রাতে কাব্য এই কথাটি বলেছ। আজ আবার হাসিব ও পরিকে দেখা মাত্রই এই কথাটি বলে উঠে।
--তো নিজের মান সন্মানের দিকে তাকিয়ে কাব্যের মা বলে উঠে?
--এই হাসিব তুমি কি বলতেছো তোমার মাথা ঠিক আছে। আর যদি কখনো এমন কথা শুনি তো তোমার সাথে কাব্যের মেলা মেশা বন্ধ করে দিবো।( কাব্যের মা)
হাসিব : আন্টি বিশ্বাস করুন এই মেয়েটিকে আমি সত্যি পতিতালয়ে দেখেছি।
--এক দম চুপ করো। তোমার মুখে আর একটি কথা ও শুনতে চাইনা আমি! ( কাব্যের মা )
হাসিব : সত্যি কখনো লুকানো যায়না বুজলেন। সত্যি টা সত্যি থাকে।
--তুমি কি বলতে চাও হ্যা। সরা সরি বলো?
হাসিব : আমি একটি কথাই বলতে চাই। আপনি একটি খারাপ মেয়ের সাথে আপনার সন্তানের বিয়ে দিয়েছেন। তাতেই আবার বয়সে ও বড়? আপনি মা হয়ে এমন একটি মেয়ের সাথে কাব্যের বিয়ে দিলেন ভাবতেই পারলাম না!
--ঠাসসসস! ঠাসসস! ঠাসসস! বেয়াদব ছেলে কোথাকার! লজ্জা করেনা একটি মেয়ের নামে এমন বদনাম লটানোর। আমি তো ভাবতেই পারছি না তুমি এতোটা খারাপ? ( কাব্যের মা )
হাসিব : আপনি আমাকে থাপ্পড় মারলেন আন্টি। এটা এক দমি ঠিক করেন নাই।
--কেনো তুমি কি আমাকে থাপ্পড় দিবে নাকি।
( কব্যের মা)
হাসিব : আমাকে আপনি থাপ্পড় না মারলে ও পারতেন। এই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ আমি থাপ্পড় দিয়ে নিবো না। সময় হোক ঠিকেই বুজবেন।
--যাও বেরিয়ে যাও আমার বাসা থেকে। তোমার মতো ছেলের সাথে মেলা মেশার জন্যে আমার সন্তান টি এমন হয়েছে। ( কাব্যের মা )
হাসিব : হুম যাচ্ছি তবে মনে রাখবেন। আপনাকে অনেক পস্তাতে হবে। আর হ্যা আপনার এই যে বউ মা আছে না। ওর সাথে আমার অনেক কাহিনি আছে। আপনার ছেলের মুখে শুনিনেন!
--এই তুমি কি যাবে এখন। নাকি দারোয়ান ডেকে বের করে দিবো। ( কাব্যের মা )
হাসিব : তার দরকার নেই! আমি চলে যাচ্ছি?
--এটা বলেই হাসিব একবার পরির দিকে তাকিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়?
--পরি তুমি আমার সাথে রুমে আসো তো। কথা আছে অনেক! ( কাব্যের মা )
পরি : হুম মা চলুন। ( কান্না ভেজা চোখে )
--সবাই ভাবতে পারেন কান ভেজা চোখে কেনো। কারনটা হচ্ছে এতো সব মিথ্যা বানোয়াট কথা শুনলে যে কারোর চোখে পানি চলে আসবে। তাতেই আবার নতুন বউ সব মাত্র কাল এসেছে। তাতেই এতো বদনাম।
--তো এর পরে শাশুড়ি মায়ের কথা মতো পরি পিছে পিছে তার সাথে রুমে চলে আসে।
পরি : মা বলুন কি বলবেন!
--তুমি কি সত্যি ওই সব কারাপ কাজে লিপ্ত আছো পরি। যা সত্যি তাই বলবে? ( কাব্যের মা )
পরি : মা বিশ্বাস করুন আমি এই সব কাজে লিপ্ত কথা তো দুরের কথা মুখেই কখনো আনিনাই।
--তাহলে কাল রাতে কাব্য আজ ওর বন্ধু হাসিব এই সব কথা বললো কেনো বুজলাম না ( কাব্যের মা )
পরি : সেটাই তো আমি ও বুজতেছি না মা। ওরা কেনো আমাকে এই সব দোশারপ করতেছে। আর আমি তো এমন মেয়ে না?
--লুকাচ্ছো না তো আবার কেনো কথা। যদি লুকিয়ে থাকো সত্যি টা বলো। কোন সমস্যা হবে না। আমি দেখবো কি করা যেতে পারে। ( কাব্যের মা )
পরি : আশ্চর্য আমি মিথ্যা বলবো কেনো। যদি আপনার বিশ্বাস না হয় তবে আমার সম্পর্কে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। আমি কেমন মেয়ে।
--ওহ! কিন্তু আমি ও বুঝতেছি না। ওরা দুজনে কি প্লান করে এমন করতেছে নাকি অন্য কিছু। কাব্য তো আমাকে কখনো মিথ্যা বলে না। আমার মনে হয় কি জানো পরি। ওরা তোমার মতো কাউকে দেখেছে। তাই তোমাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করতেছে? ( কাব্যের মা )
পরি : হয়তো হতে পারে? কিন্ত এখন আমি কি করবো। আপনার ছেলে তো আমার সাথে কথাই বলতেছে না। যদি ও বা কাছে যাই তবে কতো কথা বলতেছে। এর চেয়ে আপনি আমার বাবা কে বলিয়ে আমাদের আলাদা করে দিন।
--এ মেয়ে তুমি কি পাগল হয়ে গেছো নাকি? কাল বিয়ে হলো আজকেই ডিভোর্স এ দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছো। আমি কি তোমাকে এখনো কোন খারাপ মন্তব্য করেছি নাকি? যে তুমি ছারা ছারির কথা মুখ আনতেছো। আর কখনো এমন কথা বলবে না ( কাব্যের মা )
পরি : তো আমি কি আর করবো বলেন? যেখানে আপনার সন্তান আমি স্বামী হয়। ও নিজেই কথা বলে না। সেখানে কেমন করে থাকবো।
--চিন্তা করিও না। আমি সব কিছু ঠিক করে দিবো একটু ধৈর্য ধারন করো প্লিজ! ( কাব্যর মা )
পরি : জোর করে ভালোবাসা হয়না মা! আমি জোর করে আপনার সন্তানের ভালোবাসা চাইনা?
--আরে এমন কিছু না! ওর মনে হয়তো বতর্মান অনেক প্রশ্ন তাই তোমাকে মেনে নিতে পাচ্ছে না? ( কাব্যের মা )
পরি : আমি জানি না মা?
--আচ্ছা একটি কথা বলি শোন? কাব্য যেই কলেজে পরে তোমাকে ও সেই কলেজে ভর্তি করে দেই। এতে করে তোমার সব সময় এক সঙ্গে থাকতে পারবে। তখন দেখবা ও তোমার প্রতি আকৃষ্ট হবে ( কাব্যের মা)
পরি : ঠিক আছে মা আপনি যা মনে করেন।
--আচ্ছা তুমি রুমে যাও এখন। তোমার সাথে পরে কথা বলবো? ( কাব্যের মা )
--তো এর পরে পরি সোজা রুমে চলে আসে। এসেই দেখে যে কাব্য মন খারাপ করে বসে আছে। কাব্যের মন ভালো করার জন্যে পরি বলে উঠে?
পরি : আপনি চিন্তা করবেন না। আমাদের ডিভোর্স হবে।
--কথাটি শুনেই কাব্য বলে উঠে?
কাব্য : কবে ডিভোর্স হবে আমাদের আজকে!
পরি : আসলে বিয়ের ৩ মাস আগে ত ডিভোর্স হয়না। তাই আমাদের ৩ মাস এক সাথে থাকতে হবে।
কব্য : ওহ!
পরি : আমি কাল থেকে আপনার কলেজে যাবো।
কাব্য : What!!
পরি : হুম। আমি ও পরাশুনা করতে চাই। আপনার সাথে তো থাকবো না তাই ভেবেছি পরাশুনা চালিয়ে যাবো।
কাব্য : কিন্তু আমার কলেজে কেনো! আরো অনেক কলেজ তো আছে?
পরি : শুনেছি আপনি যেই কলেজে পরেন ওটাই নাকি এখানকার মধ্যে বেষ্ট কলেজ?
কাব্য : ভালো খুব ভালো ! আর হ্যা তুই যে হো"টেলে খারাপ কাজ করিশ তার প্রমান আজ দিবো আমি।
পরি : ঠিক আছে!
--এটা বলেই কাব্য সোজা সেই পতিতালয়ে আসার জন্যে রহনা দেয়। প্রায় ১ ঘন্টা পরে গন্তব্য স্থানে আসে।
--তো এসেই সোজা ওই মেয়েটার রুমে যায়। যে মেয়েটার সাথে এখানে এসে শারী-রিক সম্পর্ক করেছে।
--ভিতরে ডুকেই দেখে যে অন্য একটি মেয়ে শুয়ে আছে। এই রুমে। আশ্চর্য ওই মেয়েটা কোথায় ?
কাব্য : আচ্ছা এ রুমে যে ছিলো কালকে সে কোথায়?
--কেনো আমি কে তার চেয়ে দেখতে খারাপ নাকি। আমাকে পছন্দ হয়না!
কাব্য : প্লিজ বলো সে কোথায়।
--আসো আমি ও ওর মতোই তৃপ্তি দিবো বাবু তোকে?
কাব্য : দয়া করে বলো ও কোথায়?
--বলতে পারি এর জন্যে 200 টাকা দিতে হবে আমাকে ?
--কথাটি শুনার সাথে সাথেই কাব্য টাকাটি বের করে দেয়।
কাব্য : এখন বলো?
--আসলে ওর কালকে,,,,,?????
--কাল রাতে বিয়ে হয়ে গেছে রূপসির! তাই আমি ওর রুমে এসেছি এখন?
কাব্য: কি ওর বিয়ে হয়েছে মানে।
--আসলে ও দেখতে অনেক সুন্দর ব্যবহার ও সুন্দর, কাল একটা আপনার মতো খদ্দের এসেছিলো।
কাব্য : তার পরে!
--তার পরে আবার কি। রূপসি ওকে মন ভরে ভালোবাসা দিয়েছে। এতে লোকটি খুশি হয়ে আর ওর রূপ দেখে নিয়ে গিয়েছে। বলেছে বিয়ে করবে।
কাব্য : এই সব সত্যি নাকি মিথ্যা । আর ওর নাম রূপসি।
--হুমম আসেব।
কাব্য : তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
--সাহেব আসেন। আমি আজ আপনাকে খুশি করাতে চাই। বেশি টাকা নিবো না। খুশি হয়ে যা দিবেন।
কাব্য : সরি!
--এটা বলেই কাব্য সেখানে থেকে আবার বাসায় আসার জন্যে রহনা দেয়।
--পুরা রাস্তায় কাব্যের মাথায় একটাই চিন্তা সেটা হলো! এই পরি কে নিয়ে। পরি কি সত্যি কথা বলতেছে নাকি মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে। এই সব চিন্তা করতে করতে কাব্য বাসায় চলে আসে।
--এই তুই কোথায় গিয়েছিলি হ্যা। ( মা )
কাব্য : কোথাও না। কেনো কি হয়েছে?
মা : পরিকে নিয়ে ঘুরতে যা ওর মনটা ভিষন খারাপ।
কাব্য : খারাপ তো আমি কি করবো শুনি। আমি মন ভালো করার ওষুধ নাকি।
মা : আমি যেটা বলছি সেটাই কর।
কাব্য : আমি পারবো না। ওই খারাপ মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে।
মা : ও খারাপ না খারাপ হলি তুই। যদি খারাপ যায়গাই না যাইতি এই সব মিথ্যা বানোয়াট কথা কখনো বলতে পারতি না।
কাব্য : কি আমি খারাপ!
মা : হ্যা তুই খারাপ। তোর মতো সন্তান আল্লাহ্ যে কেনো আমাকে দিচে।
কাব্য : ছোট্ট থাকায় মে-রে ফেলতে পারোনাই? তাহলে আজ এমন কিছু হতো না।
মা : সেটাই তো ভূল করেছি।
--এই ভাবে মায়ের সাথে ঝগড়া করে কাব্য নিজের রুমে চলে আসে।
পরি : আমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে হবে না। আমার জন্যে আপনি অনেক ছোট হয়েছেন। আমি আজ চলে যাবো বাবার বাসায়।
কাব্য : নিশ্চুপ?
পরি : আজ একটি কথা বলি। শুনেন আপনি যে মেটাকে আমাকে মনে করতেচেন সেই মেয়েটা সত্যি আমি না।
কাব্য : না তুমি সেই মেয়ে। আমি নিজের চোখে তোমাকে দেখেছি পতিতা'লয়ে?
পরি : ওহ। আচ্ছা ভালো থাকেন আমি গেলাম।
--এটা বলেই যখন পরি জাইতে ধরবে ঠিক তখনি কাব্য পিছন থেকে হাতটি টেনে ধরে। কাব্য পরির হাতটা ধরার সাথে সাথেই পরির শরীর টা যেনো কম্পন দিয়ে উঠলো।
পরি : কি হলো হাত ধরলেন যে!
কাব্য : আপনি এখানেই থাকেন। মা এমনি অনেক মন খারাপ করে আছে। আপনি চলে গেলে আরো মন খারাপ করবে।
পরি : কিন্তু আপনার যে সমস্যা হচ্ছে এখানে।
কাব্য : হোক আমি ম্যানেজ করে নিবো।
পরি : ঠিক আছে।
--তো এই ভেবেই কেটে যায় ১টি মাস। কাব্য পরির সাথে কথা বলে না। পরি নিজেই এসে বলে।তখন উত্তর টা শুধুমাত্র দেয়। সকাল বেলা কাব্য ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া করে যখনি কলেজ বের হবে এমন সময় ওর মা চলে আসে।
--কাব্য দারাও। আজ পরি ও কলেজে যাবে? (মা )
কাব্য : মা মাথা গরম করিও না তো। আজ এক মাস পরে কলেজে যাচ্ছি এমনি মোনটা খারাপ।
মা : পরি কলেজে ভর্তি হয়েছে।
কাব্য : ও আবার কবে ভর্তি হলো বুজলাম না।
মা : আমি কাল তোর স্যারের সাথে কথা বলেছি। ওকে ও ভর্তি করে নিয়েছে।
কাব্য : তো এখন আমি কি করবো।
মা : কি আর করবি তর বউকে তুই কলেজে নিয়ে যাবি।
কাব্য : ও কলেজ দেখেনি।
মা : না ও কলেজ দেখেনি। আজ দেখিয়ে দে তার পরে একাই একাই যাবে।
কাব্য : ঠিক আছে।
--এই পরি তারা তারি আয়। কাব্য তোর জন্যে ওয়েট করতেছে।
পরি : হুম মা আর এক মিনিট আমি রেডি হয়েছি।
মা : শোন পরিকে দেখে শুনে রাখিস।
কাব্য : ও কি ফিটারে দু'দু খায় যে দেখে শুনে রাখতে হবে।
--কথাটি বলা মাত্রই পরি চলে আসে।
পরি : মা আমি রেডি?
--কথাটি শুনেই কাব্য পরির দিকে তাকিয়েই আর চোখ ফেলাতে পারে না। এটা তো সত্যিকারের পরি মনে হচ্ছে।
পরি : এই আপনি এমন করে তাকিয়ে আছেন কেনো হ্যা। আমাকে কখনো দেখেন নাই।
--কথাটি শুনেই কাব্য লজ্জা পায়। কারন সেখানে মা ও ছিলো তাই।
কাব্য : হয়েছে আমার ত আর কাজ নেই।
--এর পরে দুজনে বাসা থেকে বাহিরে এসে একটি রিশকার অপেক্ষা করতেছে। ঠিক ২ মিনিট পরে একটি রিশকা এসে পরে।
কাব্য : ওই মামা রিশকা নিয়ে যাবেন রংপুর সরকারি কলেজ।
--অবশ্যই যামু মামা উঠে বসুন মামি সহো।
--এর পরে কাব্য ও পরি দুজনে উঠে বসে রিশকায়। বেশ কিছু দুর যাওয়ার পরেই। দেখা হয়ে যায় সেই হাসিবের সাথে।
পরি : আপনি এই ছেলের সাথে কথা বলবেন না।
কাব্য : কেনো।
পরি : এই ছেলে আপনার মাকে সেই দিন অপোমান করেছে।
--কথাটি শুনে কাব্য একটু অবাক হয়। আর ভাবতে থাকে কি করবে। শেষ মেষ চিন্তা করে কথা বলবে না।
কারন যে আমার মাকে অপোমান করেছে তার সাথে আবার কিসের কথা।
--যখনি রিশকাটি হাসিবের সামন দিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক সেই সময় হাসিব বলে উঠে!
হাসিব : কি মামা বউ নিয়ে ব্যবসায় যাচ্ছিস নাকি।
কাব্য : নিশ্চুপ!
হাসিব : আমাদের ও দিস আমরা ওটাকা দিবো। সমস্যা নেই।
কাব্য : তোর কাছে এই সব আশা করিনাই হাসিব?
হাসিব : হাহা হাহা বিয়ে তো করেছিস একটা হোটে"লের ব্য"শা কে যেমন ভাব নিচ্ছিস মনে হচ্ছে পরিমনি কে বিয়ে করেছিস।
--এই কথাটি শুনেই কাব্য রিশকা থেকে নেমে হাসিবের কলাট ধরে।
কাব্য : আর একটি কথা যদি বলিশ। তোর ওই মুখটা মেখের জায়গাই থাকবে না।
--বলেই একটা ধাক্কা দেয় হাসিব কে?
পরি : এই আপনি উঠে পরুন কলেজে দেরি হচ্ছে। এই সব রাস্তার ছেলেদের সাথে কথা না বলাই ভালো।
--ত পরির কথা মতো কাব্য আবার রিশকায় উঠে পরে। আর রিশকা ওয়ালা মামা চালাইতে থেকে। একটু দেরে যাইতেই হাসিব চিৎকার দিয়ে বলে উঠে।
হাসিব : তুই যে একটা পতিতা"লয়ের মেয়েকে বিয়ে করেছিস সেটা আমি ভাইরাল করবো ওয়েট কর।
--সেই দিকে কাব্য আর কান না দিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকে। বেশ কিছুক্ষন পরে যখনি কলেজের সামনে রিশকাটি যাবে আর সেই সময় কাব্য বলে উঠে।
কাব্য : মামা এখানেই দারাও।
পরি : কলেজ তো আরো একটু দুরে দেখা যাচ্ছে। এখানে থামাবে কেনো।
--কাব্য রিশকা থেকে নেমে রিশকা ওয়ালাকে টাকা বুজিয়ে দেয়?
কাব্য : মামা একে কলেজের সামনে গিয়ে নামাই দিও।
পরি : এ আপনি কোথায় যাবেন হ্যা।
কাব্য : এই এতো প্যাচাল পারবি না। তোর কারনে আমার সব মান সন্মান শেষ। আমি চাইনা তুই কলেজে আমার মান সন্মান শেষ কর। কলেজে কেউ যেনো না জানে তুই আমার বউ।
--কথাটি শুনেই পরির মোনটা খারাপ হয়ে যায়।
কাব্য : কিরে কথা বুজেছিস।
পরি : ঠিক আছে আমি কাউকে কখনো বলবো না। আমরা দুজনে স্বামী স্রী।
কাব্য : মনে থাকে যেনো। যদি বলিশ খুব খারপ হবে বলে দিলাম। এই মামা নিয়ে যাও ওকে।
--এর পরে রিশকা ওয়ালা মামা পরিকে কলেজের সামনে এসে নামাই দেয়। যখনি পরি কলেজে ডুকে সবেই এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে।
--ঠিক একটু পরে কাব্য ও কলেজে ডুকে। আর সাথে সাথেই দেখতে থাকে পরিকে সবাই ফলো করতেছে।
--একটু দুরে যেতেনা যেতেই কাব্যের একটি বন্ধু বলে উঠে কাব্য কে।
--কাব্য ওই দেখে সেই একটা মা""""ল আমাদের কলেজে এসেছে। উফফ কি সুন্দর দেখতে।
--এই কথা শুনে কাব্য কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।
--ঠিক সেই সময় পরির দিকে তাকাতেই দেখতে পায়যে.......
"" পরবর্তী পর্বের জন্যে অপেক্ষা করুন এই পযর্ন্ত কেমন হয়েছে কমেন্ট করুন?
💝 আল্লাহ্ সর্ব শক্তিশালী 💝
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন