নরপিচাশ ফুফি
পর্ব ২
আমি বললাম, মায়া, তুমি কি এখনই ঘুমাবে?
সে উত্তর দিল, না ভাবি, একটু দেরি করব।
একটা জিনিস বুঝি না, তুমি সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে কি কর?
তোমার তো পড়াশোনা আছে? তোমার বান্ধবীরা তো সবসময় পড়ায় ব্যস্ত।
তোমার ভাইয়া বলেছে, রেজাল্ট খারাপ হলে বিয়ে দিয়ে দেবে।
মোবাইল ছেড়ে পড়ায় মন দাও।আমার কথায় মায়া ঘাবড়ে গেল। সে মনে মনে ভাবল, রিয়া কিছু বলেছে কিনা।মায়া নিশ্চুপ হয়ে রইল। বলল, টেনশন করো না, আমি ভালো রেজাল্ট করব।
আমি ভাবলাম, তুমি আমার মেয়ের সাথে এ আচরণ কিভাবে কর? আমি এর শেষ দেখব!
কিছুক্ষণ পর মায়া জিজ্ঞেস করল, আর কিছু বলবেন?
না, শাশুড়ির জন্য পানের বাটা খুঁজছিলাম। পেয়ে গেছি।
তুমি অপেক্ষা কর, রিয়া এখনই আসবে ঘুমাতে।
আর মোবাইলে ভিডিও দেখিয়ে শেখিও না মায়া।
না ভাবি, আমি তো ওকে ভালো কথা বলি। পড়াশোনা করতে বলি।
আমাদের রিয়া খুব লক্ষ্মী মেয়ে, আমার কথা শোনে।
শাশুড়িকে পানের বাটা দিতে গেলে তিনি বললেন, বৌমা, আজ তুমি খুব খারাপ লাগছ কেন?
কিছু হয়নি আম্মা।
তুমি তো সবসময় হাসিখুশি থাক। আজ কেমন যেন। মায়া ঘুমিয়েছে?
মেয়েটা বই নিয়ে বসে না। আপনিই বলুন।
আপনার মেয়ে আপনি ভালো জানেন। সারাক্ষণ মোবাইলে কি করে?
শাশুড়ি বললেন, হ্যাঁ বৌমা, ঠিক বলেছ। মেয়েটা সবসময় মোবাইলে থাকে।
আমি এখন বুড়ো হয়ে গেছি। তোমার শ্বশুর কিছু বলে না। এখন শাসন না করলে মেয়েটা খারাপ হয়ে যাবে।
বৌমা, তুমি শাসন করবে, এটা আমার আদেশ।
মেয়েটা সারাক্ষণ কি করে, কিছু বুঝি না।
যদি কোন অঘটন ঘটে, আমাদের মানসম্মান সব যাবে। তুমি দেখবে।
খারাপ কাজে লিপ্ত হলে শাসন করবে।
শাশুড়ির কথা শুনে আমি খুশি হলাম। অপেক্ষায় ছিলাম।
বললাম, আম্মা, আমি রুমে যাই?
যাও বৌমা, কিন্তু আরিফের সাথে ঝগড়া করো না। সমস্যা হলে আমাকে ডাকো।
আপনি টেনশন করবেন না। পান খেয়ে ঘুমান।
আচ্ছা আমার লক্ষ্মী বৌমা।
তিনি এমন ভালো মানুষ, তাঁর পেটে এত নরপিচাশ মেয়ে কিভাবে জন্মাল!
রুমে যেতেই দেখি রিয়া ব্যথায় ছটফট করছে।
রিয়া, কি হয়েছে?
আম্মু, আমার গোপন জায়গায় প্রচণ্ড ব্যথা। আর সহ্য করতে পারছি না। মরে যাচ্ছি।
বলে সে ফ্লোরে পড়ে গেল।
টেনশন করো না। আমি দেখছি। চলো ওয়াশরুমে।
রিয়া হাঁটতে পারছিল না। আমি নিয়ে গেলাম।
ওয়াশরুমে যা দেখলাম, আল্লাহ! আমার মেয়েকে বাঁচাও!
আগে শুধু শুনতাম, আজ দেখে মন ভেঙে গেল।
জায়গাটা একদম ইনফেকশন হয়ে গেছে। রক্ত পড়ছে। কি করব বুঝতে পারছি না।
রিয়া কান্না করতে করতে বলল, "আম্মু, আমাকে বাঁচাও। ব্যাথা সই না।
ফুফি একটা পচা। সে রোজ রাতে ব্যথা দিত।
বলতাম, ফুফি আর ব্যথা দিও না। সে বলল, ভালো লাগবে, চুপ কর।
আর গালি দিত। ভয় দেখাত, কাউকে বলতে দেবে না।
আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। আরিফকে ডাকলাম। কিন্তু সে সাড়া দিল না। রাত হয়েছে, সকালে তার ডিউটি। অনেক ডাকার পর সাড়া দিল।
কি হয়েছে রিয়ার আম্মু?
আরিফের কথা শুনে নীলা জবাব দিল না। তার মেয়ে রিয়া নিয়ে চিন্তায় সে অজ্ঞান হয়ে গেছে।
সাড়া না পেয়ে আরিফ দ্রুত ওয়াশরুমে গেল। দেখল রিয়া এবং নীলা দুজনই বেহুশ।
আরিফ চিৎকার করল। তার বাবা মা ছুটে আসলেন। দেখলেন বৌমা এবং নাতনি বেহুশ।
অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হলো। রিয়া এবং নীলা হাসপাতালে নেওয়া হলো।
ডাক্তার বললেন, রিয়াকে ইমারজেন্সি অপারেশন করতে হবে।
নীরার জ্ঞান ফিরল। সে জিজ্ঞেস করল, আমার মেয়ে রিয়া কোথায়? সে ঠিক আছে?
হ্যাঁ, ঠিক আছে। টেনশন করো না।
নীলা আবার জিজ্ঞেস করল, আমি রিয়াকে দেখতে চাই।
সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলল, তোমরা সবাই মিথ্যা বলছ। আমার মেয়ে ভালো নেই।
আমার মেয়ে বাঁচবে তো? কারো ক্ষমা করব না।
আরিফ বলল, টেনশন করো না। আমাদের মেয়ে ঠিক আছে। কোথায় আছে? নিয়ে যাও।
নীলাকে অপারেশন থিয়েটারের সামনে নিয়ে গেল। বলল, "ডাক্তার বলেছেন অপারেশন করতে হবে। ইনফেকশন হয়েছে। না করলে বড় সমস্যা হবে।
রিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। প্লিজ নীলা, আল্লাহকে ডাকো।
আল্লাহ যেন আমাদের মেয়েকে নেক হায়াত দান করেন।
বিচার বাড়িতে করব। আমার বোন বলে পার পাবে না। কঠিন শাস্তি দেব।
আমার বোন হয়ে ভাইয়ের মেয়ের সাথে এ কাজ কিভাবে করে? এবার শেষ দেখব।
সে আমার বোন, ভুলব না। এত ছোট বাচ্চার সাথে যৌন হয়রানি কিভাবে করে? বিবেকে বাধে নি?
ওকে সবচেয়ে আদর করতাম। যখন যা চেয়েছে, দিয়েছি। কোন অভাব রাখি নি।
সে আমার ছোট বোন। বাবা মায়ের আদরের মেয়ে। বাবা মারা যাওয়ার পর আমি দেখেছি।
বোন নয়, মেয়ের মত বড় করেছি। মায়াকে সবসময় আগলে রেখেছি। জেনারেল স্কুলে ভর্তি করি নি।
মাদ্রাসায় ভর্তি করেছি। পর্দা করতে বলেছি।
সেই বোন পর্দার আড়ালে এত খারাপ হতে পারে, কল্পনাও করতে পারি না।
প্লিজ নীলা শান্ত হও। আমি এর শেষ দেখব।
ইতিমধ্যে বাবা মা জেনে গেছেন রিয়ার অবস্থা। মা খুব রেগে আছেন।
মা বলছেন, আমার নাতনির সর্বনাশ কে করেছে? তার নাম শুনতে চাই।
আমি এখনো কিছু বলি নি। বললে মা কষ্ট পাবেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, মেয়ে যেন সুস্থ হয়।
ডাক্তার নীলাকে ডাকলেন। রিয়ার অপারেশন একজন মহিলা ডাক্তার করবেন।
নীলা ডাক্তারের সাথে দেখা করল।
ডাক্তার কিছু প্রশ্ন করলেন।
ম্যাডাম, আপনাকে কিছু প্রশ্ন করব?
জি, অবশ্যই। কিন্তু আগে বলুন, আমার মেয়ের এখন কি অবস্থা?
ডাক্তার রাজিয়া বেগম বললেন, এত বড় জঘন্য কাজ কে করেছে? আপনারা জানেন?
যে করেছে, সে নরপিচাশ ছাড়া কিছু নয়। একজন মানুষের এত নিষ্ঠুর হতে পারে না।
মেয়েটার কান্না দেখে আমার চোখে পানি আসে। এত ছোট মেয়ের সাথে কিভাবে করল?
আপনারা থানায় জিডি করেছেন?
নীলা বলল, ডাক্তার সাহেব, এটা আমাদের নিজেদের মানুষ। আগে মেয়ে সুস্থ হোক। তারপর বিচার হবে।
আগে বলুন, আমার মেয়ের কি অবস্থা?
ডাক্তার বললেন, ঘুমের ওষুধ দিয়েছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই অপারেশন করতে হবে।
ইনশাআল্লাহ আপনার মেয়ে ভালো হয়ে ফিরে আসবে।
ডাক্তার রাজিয়া বেগমের কথা শুনে নীলার চোখে পানি আসল। সে অনেক টেনশনে ছিল। ভাবছিল, মেয়ের কিছু হলে
ডাক্তার বললেন, আপনার মেয়েকে এখনই অপারেশনে নিয়ে যাব। আল্লাহকে ডাকুন।
আমরা শুধু ডাক্তার, বাঁচানোর মালিক আল্লাহ।
নীলা বললেন, আমার এই মাসুম বাচ্চাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দেবেন।
ডাক্তার রিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলেন!
সম্পূর্ণ গল্পটি নাটক আকারে দেখুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে
https://www.youtube.com.php?id=61573122160874
৩য় পর্ব লিংক
লিংকে ক্লিক করে ৩০ সেকেন্ড ওয়েট করলে তৃতীয় পর্ব ওপেন হয়ে যাবে
https://www.thritpart.nopicshapupi.com



0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন