জমজ বোনের সংসার
পর্ব ২
কপি করা নিষেধ!
জারার ফোনে হঠাৎ করে কল আসলো!
দেখেই বুঝতে পারলাম হসপিটালের কোন নাম্বার এর থেকে কল এসেছে!
জারা কল ধরে হ্যালো বলতেই! ডাক্তার এর কথা বলার শব্দ পেতে থাকলাম! কি একটা কথা হলো জারা আর ডাক্তার এর মধ্যে! ঠিক মতো বুঝতে পারলাম না! খুব আস্তে আস্তে কথা বলতে থাকে জারা আর ডাক্তার!
আমি একটা ধমক দিয়ে জারার থেকে ফোন টা কেড়ে নিয়ে হ্যালো বলতেই দেখি কল কেটে গেছে!
আমি জারা কে জিগ্যেস করলাম কি হয়েছে এখন সব কিছু আমাকে খুলে বলো!
জারাঃ গিয়াস ভাইয়া আমি এটিই অনেক সময় ধরে আপনাকে বলতে চাচ্ছি একটু শুনেন দয়া করে!
গিয়াসঃ বলো এখন! আমাকে আর টেনশন দিও না প্লিজ! আমি এইসব আর সয্য করতে পারছি না রাত ৩ টা বেজে গেল! এইসব নিয়ে কথা বলতে বলতে!
জারাঃ গিয়াস ভাইয়া মায়া আপুর অনেক বড় একটা রোগ হয়েছে যার জন্য আপু কখনোই কোন ছেলের জীবন নষ্ট করতে চাইতো না! তাই এতো বিয়ে আসার পরেও মায়া আপু রাজি হতো না! এইবার বাবার পেরার জন্য আপু রাজি হয়েছিল কিন্তুু আপু কখনোই আপনার জীবন নষ্ট হোক এমন কিছু চায় নি! তাই আমাকে অনেক জোড় করে অনেক বুঝিয়ে বিয়ের পিড়িতে বসিয়েছে!
গিয়াসঃ কি হয়েছে মায়ার! আমি তো মায়া কে অনেক বার দেখেছি অনেক কিছু বলেছি কিন্তুু আজ পযন্ত মায়া আমাকে কিছুই বলেনি!
জারাঃ গিয়াস ভাইয়া মায়া আপু ভয় পেয়েছিলো! তাই হয়তো বলতে চায় নি!
এইসব কথা শুনে অনেক খারাপ লাগতে ছিলো! কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না!
রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেল এখনো আমরা ২ জন জেগে আছি!
জারার কাছে জানতে পারলাম! মায়া হসপিটালে এডমিট! ওর মাথায় বিরাট বড় একটা টিউমার হয়েছে যা অল্প কিছু দিনের মধ্যে কিছু একটা হয়ে যাবে! বয়স কম ওর! এই বয়সে ও অনেক কিছু সয্য করেছে জারা আর মায়া কিছু সময়ের ছোট্ট বড়! তবে মায়া কে একটু বেশিই বড় দেখা যেত! ওদের মা ওদের জন্ম দিয়ে মারা যায়! মায়া আর জারা কে ওর বাবাই বড়ো করে! মায়া একটু সাংসারিক টাইপের ছিলো! ওর বয়স কম হলেও ওকে দেখে বড় লাগতো সব কিছু বুঝতে পারতো! আর জারা এখনো ছোট্ট বাচ্চাদের মতো!
সকাল বেলা আমার বাবা মা সবাই মায়া কে খুঁজে না পেয়ে আমাকে জোড় করতে থাকলো কি করবো আমি বুঝে উঠতে পারছি না! বাবা মা কে সব টা বলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম!
বাবা মা আমাকে তার রুমে ডেকে নিলো!
আমিও জারা কে নিয়ে গেলাম! বাবা দেখে অবাক হয়ে বললো!
কিরে জারা মা তোমার বোন কোথায় তুমি এত সকালে কিভাবে আসলে!
গিয়াসঃ বাবা আমি বলছি সব!
বাবাঃ কি হয়েছে বল তো! কোন সমস্যা হয়েছে!
বাবাকে কালকে রাতের সমস্ত ঘটনা শুনাতে থাকলাম!
বাবা সব কিছু বুঝতে পারলো!।।
ঔ দিন ১২ টার সময় আমি জারা আর আমার বাবা মা একসাথে ঔ হাসপাতে গেলাম মায়া কে দেখতে!
হাসপাতালে যেতেই মায়া আর জারার বাবার সাথে দেখা! আমি বলতে থাকলাম বাবা মায়া কোথায় কি হয়েছে!
জারার বাবাঃ আমি একটা কল পেয়ে সোজা আসলাম! আমি কিছু জানি না কিন্তুু তোমরা এখানে কি করছো বলো! আমার মেয়ে কোথায়! জারা তুই কোথায় ছিলি কালকে! বাড়ির দারোয়ান বললো তোর বন্ধুর বাড়িতে!।।
এইসব কথা শুনে আরো চমকে উঠলাম আমি!
হঠাৎ দেখলাম ডাক্তার একটা স্টিল বেড এ একটা রোগী নিয়ে আমাদের দিকে আসছে!
পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষা করুন
গঠন মূলক কমেন্ট করবেন!
( জারা আর মায়া একই বছরের কিন্তুু মায়া একটু বড় কিছু সময়ের আর ওর মধ্যে এডালট একটা ভাব আছে! )
জমজ বোনের সংসার
পর্ব ২


0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন