আপু থেকে বউ
পর্ব ৯
গিয়াস উদ্দিন আহাম্মাদ
সোহেল হাসপাতালে মৃত্যুশযায়ে পড়ে একটি স্বিকারোকতি সুচনায় দিয়েছে: “আমি মরছি... ক্যানসারে পীরি চলে গিয়াসকে একটি বিষ দেয়েছি... সে রুকতের মতো রাগে বাচবে পারবে না..."
জারা চাপ্পা হয়ে গিয়াসের চোখ দেখে মর্নিয় সবাল অপরাধ প্লান। মৃত্যু হলে। সে হেচে টেঙ্ক হেক করে একটি এসিজি মেশিন হ্যাক করে।
রিজভী শেষ হয়ে গিয়াসকে: সোহেলের পুত্রোপে বুমি পেয়েছে। সে হ্যাক করে চলে সোহেলের ল্যাব ট্র্যাক করে তার সব কাচকাছে ।
"রিজভী হাসতে হাসে স্কুলের প্রস্জেক্টে লিখলো। কাচে লিখলো। চুনি জানোর বাবা একটা হিরো... আর আমি?"
বৃষ্টি ভেজা আকাশের নিচে একটি ছোট্ট স্কুল। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট রিজভী, হাতে একটি অদ্ভুত কালো রঙের ইউএসবি। তার চোখে-মুখে নিষ্পাপ কৌতূহল আর শয়তানি মিলেমিশে এক অদ্ভুত আলো। ভেতরের ক্লাসরুমে শিক্ষক বলছে, "তোমাদের প্রজেক্টের বিষয়: আমার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা।"
রিজভীর গলায় খামখেয়ালি আত্মবিশ্বাস, "আমি একজন হ্যাকার হবো। আমার বাবার মতো, আর আমার খালার মতোও। কিন্তু আমি ওদের চেয়েও ভয়ংকর হবো।"
---
**ফ্ল্যাশব্যাক - পাঁচ বছর আগে:**
সোহেলের মৃত্যুর পরে হাসপাতালের করিডোরে গিয়াস দাঁড়িয়ে, বুক চিরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। পাশে জারা। গিয়াসের চোখে পানি – কিন্তু সেটা কোনো এক আনন্দ আর ভয়ের মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
"তুমি বাঁচবে না গিয়াস," জারা বলে। "সোহেল বলেছে, তোমার রক্তে সে বিষ ঢুকিয়েছে।"
গিয়াস চুপ করে থাকে। তার হাতে মায়ের লেখা শেষ চিঠি।
"তুই সোহেলের ছেলে না... তোর বাবা আজিজুল হক।"
গিয়াসের চোখে বিস্ময়। "আমি তোকে মেরে ফেলতাম, যদি না জানতাম তুই আমারই রক্ত... কিন্তু এখন জানি, আমি ওর রক্তই না। তাহলে আমি কে?"
জারা তার হাত ধরে। "তুমি আমার সন্তানের বাবা। সেটাই এখন সবচেয়ে বড় পরিচয়।"
---
**রিজভীর আত্মবলিদান:**
হাসপাতালের সিসিটিভি কন্ট্রোল রুমে রিজভী তার শেষ অপারেশন চালাচ্ছে। সে সোহেলের গোপন ব্যাকআপ ফোল্ডার ডিলিট করে, গ্লোবাল ট্রান্সফার ব্লক করে দেয়। ঠিক তখনই পিছন থেকে গুলি লাগে।
রক্তাক্ত মুখে সে বলে, "গিয়াস ভাই... আমার কোডনেম ছিল স্করপিয়ন কিলার। শেষটা তোমার করতে হবে..."
---
**বর্তমান:**
গিয়াস এখনো বেঁচে। দুর্লভ এক প্রতিষেধক খুঁজে পেয়েছিল সুমিত, তার মায়ের রেখে যাওয়া গবেষণা থেকে। সে এখন একটি সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম চালায়: **Scorpion Killer Inc.**
জারা এখন শহরের পুলিশ কমিশনার। তার চোখে আগুন, কথায় বরফ। অপরাধীরা নাম শুনলেই থরথর করে। কিন্তু বাড়ি ফিরে এসে সে ছোট্ট রিজভীর আঁকা ছবি দেখে হাসে – তাতে লেখা: "আমার পরিবার: হিরো বাবা, সুপারমম, আর আমি: মিনি হ্যাকার!"
একদিন রিজভী তার ব্যাগ থেকে একটি পুরনো ইউএসবি বের করে। সেটি রিজভী (বড়) তাকে দিয়ে গিয়েছিল। সে চালু করে, স্ক্রিনে আসে এক লাইন কোড:
"If you're watching this, it means I died for love, not for revenge. Hack the world with truth."
রিজভী মুচকি হাসে। তার চোখে জ্বলে ওঠে নীল আলো। ঠিক তখনই একটি ফোন কল আসে। অপর প্রান্তে একটি রহস্যময় কণ্ঠ:
"তুমি প্রস্তুত তো, ছোট স্কর্পিয়ন? এখন খেলাটা তোমার।"
রিজভী জানালার দিকে তাকিয়ে বলে, "আমি শুধু শুরু করেছি... এবার ইতিহাস আমি লিখবো।"
চলবে.....
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন