অপরূপা পর্ব ৪(শেষ)

অপরূপা 

পর্ব--৪

সাহিত্য ডাইরি 




--মা'তা'ল অবস্থায় আপনার সন্তান ওই যে রহিমের দোকানে বাজে কথা বলতেছে। 


পরি : কি বলেন আপনি । কাব‍্য কেনো মা'তা'র অবস্থায় থাকবে শুনি! 


--সেটা আপনি নিজেই গিয়ে দেখুন না? আমি মিথ্যা বলছি না সত্যি বলছি। 


--তো লোকটির কথা মতো পরি ও কাব‍্যের মা সেখানে যায়। গিয়েই দেখতে পায়যে সত্যি তো কাব‍্য নেশা করে এখানে মাতলামি করতেছে।


--এই কাব‍্য তুই কি করতেছিস এখানে হ‍্যা। আর এই সব কী? ( কাব‍্যের মা ) 


কাব‍্য : এই কে তুমি হ‍্যা। আমার নাম জানো কেমনে। 


--কে আমি মানে আমি তোর মা! 


কাব‍্য : কোন মা কিসের মা। আমার কোন মা নেই বুজছো? 


--কথাটি বলার সাথ সাথেই কাব‍্যের মা কশে একটি থাপ্পড় দেয়। 


--ঠাসসস ঠাসসস! বেয়াদব ছেলে কোথাকার এই তোর কাজ। এতোটা নেশা করেছিস নিজের মা কে পযর্ন্ত চিনতে পারছিস না। ছি... ছি...! ( মা )


কাব‍্য : ওহ তুমি আমার মা। তো তোমার পাশে ওই মেয়েটা কে? ( পরির দিকে উদ্দেশ্য করে ) 


মা : কে মানে! তুই পরিকে ও চিনতে পারতেছিস না। 


কাব‍্য : কোন পরি মা। যেই পরি রাতে আকাশে উরে বেরায়? 


মা : থাক চিনতে হবে না তোকে! 


--কাব‍্যের মুখে এমন কথা শুনে সেই দোকানে সামনে মানুষ গুলা হাসতে থাকে? একজন তো বলেই উঠে! আপনার সন্তান নেশা করে এটা জানতাম না। বাবা কতো ভালো ছিলো তার সন্তান নেশা খোর? এই কথা শুনে কাব‍্যের মায়ের মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়। 


--এর পরে কাব‍্যকে অনেক বুজিয়ে? বাসায় নিয়ে আসে ওর মা ও পরি। বাসায় এসেই কাব‍্যের মা বলতেছে। 


মা : ছি.. ছি.. কাব‍্য তোকে নিয়ে আমি কতো স্বপ্ন দেখেছি। মানুষের সামনে তোকে নিয়ে কতো প্রসংসা করি আজ সব কিছু ধুলোয় মিশে দিলা। 


কাব‍্য : এই এক দম চুপ করো। এতো কথা আমি শুনতে চাইনা। 


পরি : মা থাক আজ কিছু বলিও না। ওকে আজ এই সব বলে কিচ্ছুটি হবে না। কারন ও নেশার ঘোরে আছে।  


--আমি ভাবতেই পারছি না পরি কাব‍্য এমন একটি কাজ ঘটিয়ে ফেলবে। ( কাব‍্যের মা )


পরি : হুমম মা বুজতে পারছি! 


--জানো আমার ছেলেটা কখনো নেশা করেনি। আজ হঠাৎ যে ওর কি হলো বুজলামি না? ( কাব‍্যের মা )


পরি : ঘুরতে গিয়ে হয়তো বন্ধুদের পাল্লায় পরে এমন টা করেছে মা? 


--কিন্তু ওর বন্ধু গুলা তো এমন না। ( কাব‍্যের মা ) 


--এই কথা শুনে পরি মনে মনে বলতে থাকে। আপনার সন্তান কোন বন্ধুর সাথে ঘুরতে গিয়েছিলো সেটা আমি ভালো জানি। 


পরি : আচ্ছা মা কাব‍্যকে রুমে নিয়ে যাচ্ছি ওর ঘুমের প্রয়োজন আছে। 


--ঠিক আছে মা যাও রুম? ( কাব‍্যর মা ) 


--তো এর পরে পরি কাব‍্যকে রুমে নিয়ে আসে। 


পরি : ছি... কাব‍্য তোমার কাছে এমনটা আশা করিনাই। 


কাব‍্য : তো কি হয়েছে শুনি! 


পরি : তুমি নেশা ও করো। ভাবতেই ঘৃনা লাগতেছে আমার? 


কাব‍্য : হুম করি আরো করবো। তাতে তোর কি.? 


পরি : আমার কিছু না ঘুমাও। এখন তুমি ! 


--এর পরে কাব‍্যকে বিছানায় শুইয়ে পরি নিজের পোশাক গুলা চেন্স করতে ওয়াশ রুমে আসে।  


--তো ওয়াশ রুমে এসে পোশাক গুলা চেন্স করে? রাতে যে পোশাক পরে ঘুমায় সেই পোশাকটি পরতেছে । ঠিক সেই সময় কারোর হাতের ছোঁয়া পায় পরি। আর সাথে সাথেই পিছনে ঘুরে তাকায়।  


পরি : কাব‍্য তুমি! ঘুমাওনি! আর এখানে কি করতেছো। 


কাব‍্য : না ঘুমাইনি! তোর কাছে এসেছি।


পরি : আমার কাছে এসেছো মানে?


কাব‍্য: কেনো এসেছি বুজতে পারতেছিস না। 


পরি : না! 


কাব‍্য : বুজতে না পারিশ তো চুপ চাপ থাক! আমি কি করতেছি সেটা উপভোগ কর। 


পরি : কি করবা তুমি হ‍্যা। 


কাব‍্য : চুপ থাকতে বলছি না তোকে? 


--তো কাব‍্যের এমন হুমকিতে পরি চুপ হয়ে যায়। এই দিকে পরি চুপ হওয়ার সাথে সাথেই কাব‍্য তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করতে থাকে।  


পরি : এই কাব‍্য কি করতেছো এই সব। তুমি আমার শরীরে স্পর্শ করতেছো কেনো। 


কাব‍্য : ভালো লাগতেছে তাই করতেছি! 


পরি : না তুমি আমার শরীর স্পর্শ করতে পারো না?


( সবাই ভাবতে পারেন কাব‍্য তো পরির জামাই তবে কাব‍্য এমন করতেছে পরি? কেনো বাধা দিচ্ছে তাই তো। তবে শুনুন, পরি জানে যে কাব‍্য তাকে ভালোবাসে না বরং অন্য একটি মেয়েকে ভালোবাসে। তাতেই আবার ডিভোর্সের কথা উঠেছে। এই জন্যে পরি চাচ্ছে কাব‍্য যেনো খারাপ কিছু না করে ) 


কাব‍্য : তুই আর একটি কথা বললে খুব খারাপ হবে। 


--এই কথাটি বলেই কাব‍্য পরিকে কোলে তুলে নিয়ে বাছানায় আসে। এসেই পরির শরীর পোশাক গুলা এক এক করে সব খুলতে থাকে। কাব‍্যের এমন পাগলামি দেখে পরি নিজেকে রক্ষা করার জন্যে বিপন্ন হয়ে চেষ্টা করে। কিন্তু কাব‍্যের কাছে কোন ভাবেই যেনো রক্ষা পাওয়া আজ সম্ভব না। পরীও জানে আজ আর রক্ষা নেই। কারন কাব‍্য নেশার ঘোরে আছে।ও নিজেই জানে না কি করতেছে। তবুও শেষ বারের মতো পরি বলে উঠে। 


পরি : এই কাব‍্য প্লিজ আমাকে ছেরে দাও। আমার সাথে এমন কজ করিও না। তোমার দুটি পায়ে পরি আমি । তুমি তো আমাকে ডিভোর্স দিবা বলেছো। তবুও কেনো আমাকে নষ্ট করতেছো। কি দোশ আমার?


কাব‍্য : নিশ্চুপ! 


--কাব‍্যের সাথে উঠে না পারায় পরি শেষ মেশ নিজেকে বিলিয়ে দেয় কাব‍্যের কাছে। পরি মনে মনে ভাবতে থাকে। বাধা দিয়ে কি হবে আমার এই সব কিছু তো ওরেই। আর যদি কোন ভাবে একটী বাচ্ছা হয় তবে কখনো সংসার ভাঙ্গা সম্ভব না। এই সব হাজার টা চিন্তা ভাবনা করে নিজেকে শেষ পযর্ন্ত কাব‍্যের হাতেই তুলে দেয়। 


--এই দিকে কাব‍্য ও নেশার অবস্থায় থাকার কারনে কিচ্ছু বুজতেছে না। ও কি করতেছে না করতেছে। হয়ত সঙ্গানে থাকলে এমনটি করতো না।  


--তো এই ভেবেই সেই রাতটি কেটে যায়। পরের দিন পরি ঘুম থেকে উঠার আগেই কাব‍্য ঘুম থেকে উঠে পরে। 


--উঠেই উপলব্দি করে শরীরে কোন পোশাক নেই। ঠিক তখন আবার লক্ষ করে তার পাশেই পরি ও শুয়ে আছে। ওর শরীরে ও কোন পোশাক নেই। এটা দেখেই চিৎকার শুরু করে দেয়। 


কাব‍্য : এইইই এইইই তুই আমার খাটে কি করতেছিস হ‍্যা। তুই থাকবি সোপায় কিন্তু তুই আমার এখানে কি করতেছিস। 


--কাব‍্যের এমন চিৎকারে পরির ঘুম ভেঙ্গে যায়। 


পরি : এই কি হয়েছে এমন চিৎকার করতেছো কেনো শুনি?  


কাব‍্য : তুই আমার খাটে কি করতেছিস। কেনো ছেলে দেখলে শরীর ঠিক থাকে না নাকি। আর তোর শরীরে পোশাক কোই।  


পরি : পোষাক কোথায় সেটা তুমি ভালো জানো আমার থেক। 


কাব‍্য : আমি জানি মানে। 


পরি : হুম তুমি ভালো জানো আমার থেকে। 


কাব‍্য : ছি.... তোকে ভালো ভাবছিলাম কিন্তু তুই দেখি অনেক যঘ‍র্ন। যে নিজের পোষাক খুলেছে আমার সাথে এসে শুইছিস। সেটা না হয় বুজলাম কিন্তু তুই আমার ও পোষাক খুলেছিস। 


পরি : এ এক দম চুপ করো । একটা বাজে কথা বলবে না বলে দিলাম। কাল রাতে নেশা করে কি করছো সেটা ভূলে গেছো। 


কাব‍্য : মানে! 


পরি : এতো মানের উত্তর দিতে পারবো। উত্তর পেতে হলে তোমার মায়ের কাছে গিয়ে নাও। 


কাব‍্য : সেটা তো নিবোই। তার আগে তুই বল এমন কাজ করার সাহস কোথায় পেলি। 


পরি : কিসের সাহস। 


কাব‍্য : তুই আমার কাছে শুইছিস কেনো বল। 


পরি : ভালো লাগছে তাই শুইছি। কেনো সমস্যা আছে। 


কাব‍্য : তুই যদি আর কখনো এমন ভূল করিশ তো সেই দিনেই তোর শেষ দিন হবে এই বাসায় থাকার।


পরি : দেখা যাবে! 


--এর পরে কাব‍্য ওয়াশ রুমে চলে যায়। ফ্রেশ হওয়ার জন‍্যে? প্রায় ৬/৭ মিনিট পরে ওয়াশ রুমে থেকে বের হয়ে এসেই দেখে এখনো পরি শুয়ে আছে। 


কাব‍্য : এ ওঠ আমার বিছানা থেকে। 


পরি : রাতে ত ঠিকেই কোলে করে নিয়ে আইছো বিছানায়। এখন শুয়ে আছি তো সমস্যা হয়েছে? 


কাব‍্য : এ এক দম বাজে কথা বন্ধ করবি। 


পরি : আমি বাজে কথা বলিনা। নিজেই বলেন! 


কাব‍্য : আমার রুচি এতোটা নিছে নামেনাই যে তোর মতো মেয়েকে আমি কোলে তুলে বিছানায় নিয়ে আসবো। 


পরি : সেটা জানি! নেশা খোরেরা কি করতে পারে আর না পারে।


--এই কথাটি শুনেই কাব‍্য একটু চুপ হয়ে যায়। 


কাব‍্য : নিশ্চুপ? 


পরি : নিশ্চুপ কেনো হ‍্যা। নেশা যখন করো তখন মনে থাকে না । এই নেশার প্রভাব পরে কি হতে পারে। দিছো ত কাল রাতে তোমার বাবা মায়ের মান সন্মান মাঠিতে মিশে! 


কাব‍্য : কি হয়েছে হ‍্যা সব খুলে বল। 


পরি : কাল রাতে নেশা করে রহিমের দোকানে মাতলামি করছো মনে আছে কি। 


কাব‍্য : হাহহা হাহহা আমি মাতলামি করছি। 


পরি : হুম। 


কাব‍্য : বিশ্বাস হয়না আমার । 


পরি : ত তোমার মায়ের কাছে গিয়ে শুনো। কি করছো আর না করছো। 


--কথাটি শুনেই কাব‍্য তার মায়ের রুমে চলে আসে।এসেই দেখে মা আর _______


--তোমার মৃ'ত্যু'র পরে ভেবেছিলাম কাব‍্য কে আমি মানুষের মতো মানুষ করবো কিন্তু সেটা হলো না! ( কাব‍্যের মা )


--কব‍্য রুমে এসেই দেখে যে বাবা ছবি দেখে দেখে এই সব কথা বলতেছে? এটা দেখে কাব‍্যের সত্যি খারাপ লাগে অনেক। 


কাব‍্য : মা! আমার ভূল হয়েছে আমাকে মাপ করে দাও প্লিজ? আসলে কাল কিছু বন্ধু ভূল করেই আমাকে এই সব খাওয়াইছে। 


--মা যেন নিশ্চুপ হয়ে আছে?


কাব‍্য : মা আমার ভূল হয়েছে আমাকে মাপ করে দাও। আর কখনো আমি এমন কাজ করবো না। 


--এই কথা শুনে কাব‍্যের মা বলে উঠে। 


--হুম তোকে মাপ করতে পারি। কিন্তু তার আগে কথা দিতে হবে তুই পরিকে নিজের বউ হিসেবে মানবি। ( মা )


কাব‍্য : মা বিশ্বাস করো ওকে আমি পতি........? (কথাটি শেষ হতে না হতেই মা বলে উঠে)


--শোন বাবা মানুষের মতো মানুষ অনেক থাকে। ঠিক তেমনি হয়তো দেখতে পরি ও। তাই বলে কি তুই এমন সাস্তি দিবি মেয়েটাকে। ( মা ) 


কাব‍্য : আচ্ছা আমি খোজ নিয়ে দেখি পরি সেই মেয়ে নাকি অন্য কেউ আছে এর পিছনে?


--যখন সিদ্ধান্ত নিবি তখন তোকে মাপ করবো আমি? তার আগে না ( মা )


--এই কথাটি শুনে আবার কাব‍্য সেই পতি"তাল'য়ে চলে যায় সেই নারীর খোজে। গিয়ে তন্ন তন্ন করে খুজতে থাকে। অবশেষে যখন খুজে পায়না তখন কাব‍্য মন খারাপ কে একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছে আর চার দিকে তাকাচ্ছে। ঠিক সেই সময় কাব‍্য দেখে ওই মহিলাকে । যে কিনা একটি রিশকায় করে যাচ্ছে। এটা দেখেই কাব‍্য চা ফেলে দিকে তার দিকে ছুটতে থাকে। প্রায় ৪ মিনিট পরে সেই রিশকাটিকে দৌরে ধরে ফলে। 


কাব‍্য : এই মামা রিশকা দার করাও! 


--কাব‍্যের কথা মতো রিশকাটি ও দার করায়। আর সাথে সাথে মহিলাটি বলে উঠে?


--এই আপনি এমন করে রিশকার সামনে আসলেন কেনো। ( মহিলাটি )


কাব‍্য : আমাকে চিনতে পারছেন। আপনি সেই মহিলা না পতি____( কথাটি শেষ হতে না হতে )


--হ‍্যা আমি সেই মহিলি! কিন্তু আমি এখন এই সব কাজ করি না। আমার বিয়ে হয়েছে। 


কাব‍্য : কোথায় বিয়ে হয়েছে।


--হয়েছে কোন এক খানে। কিন্তু এই সব আপনি জানতে চাচ্ছেন কেনো? 


--এর পরে কাব‍্য সব কথা খুলে বলে? আর এটা শুনে মহিলাটি হাসতে থাকে। 


--হাহহা হাহহা আহা হা এতো কিছু হয়ে গিয়েছে? 


কাব‍্য : হুম প্লিজ এখন আমার সাথে বাসায় চলো আমাকে একটু সময় দাও। কারন সবাই আমার বউকে ভূল বুজতেছে। 


--ঠিক আছে চলো? 


--এবার কাব‍্য মি. হাসিব - Mr Hasib কে ও ফোন দিয়ে ডাক দেয়। আবার নদি কে ও ডাক দেয়। তারা দুজনেই যেনো বাসায় চলে আসে। 


--এই দিকে এই সব কথা বলতে বলতে কাব‍্য এবং মহিলাটি দুজনেই বাসায় চলে আসে। 


কাব‍্য : মা ও মা বাহিরে চলে আসো তো। দেখো কাকে নিয়ে আইছি। 


--তো কাব‍্যের ডাক শুনে ওর মা বাহিরে আসে। 


--পরিকে নিয়ে কোথায় গিয়েছিলি? আমি ত একটু আগেই পরিকে রুমে দেখলাম? ( মা ) 


কাব‍্য : এটা পরি না। এটা সেই মহিলা যার কথা বলেছি তোমাকে? 


--এটা শুনার পরে তো কাব‍্যের মা বেহুশ! কারন চেহারাই এতো মিল কেমনে। 


--কি এটা পরি না? (মা ) 


কাব‍্য : না! 


--ঠিক তখনি পরিও বাহিরে চলে আসে। এসেই তো নিজে ও অবাক কারন এটা আবার কে? 


কাব‍্য : এই যে পরি দেখো তো চিনতে পারো কি না? 


পরি : আরে আমার মতো দেখতে ওনি। এই সব কি। 


কাব‍্য : বলেছিলাম না তোমার মতোই দেখতে হুবহু একজন আছে।


পরি : ও তার মানে ওই জায়গাই ওনি কাজ করেন। 


কব‍্য : করতো এখন করে না। 


--ঠিক এই টাইমে হাসিব ও নদি দুজনেই চলে আসে। 


--নদি বাড়ির ভিতরে এসেই দেখে যে, দুইটা পরি দারিয়ে আছে।


নদি : কাব‍্য এখানে দুইজন দেখতেই তো একেই রকম। পরিরা কি আপন বোন দুজনে? 


কাব‍্য : ওয়েট সব বলবো। তার আগে হাসিব তুই বল।এখানে কি বুজতেছিস। 


হাসিব : কি আর বুজবো দুইজন দেখতে একেই রকম। 


কাব‍্য : একজ হলো আমার বউ পরি! আরেকজন হলো সেই পতি'তা'ল'য়ের মহিলাটি। 


হাসিব : ওহ সেটাই তো দেখতে হুবহু একেই রকম। বুজাই যাচ্ছে না। 


--এই দিকে কাব‍্যের মুখে বউ কথা শুনে নদি হতবাক হয়ে যায়। 


নদি : তোমার বউ মানে। 


কাব‍্য : হুম পরি আমার বউ হয়? 


নদি : কেমনে কি হ‍্যা ।


কাব‍্য : শুন তবে কাহিনী ....... ( এটা বলে কাব‍্য সব কিছু বলতে থাকে নদি কে প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পযর্ন্ত ) এই সব শুনে নদি কি বলবে সেটা বলার ভাষা খুজে পায়না।


কাব‍্য : আমাকে মাপ করে দিও নদি। জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো কিন্তু আমার মায়ের কথা কখন অমান্য করতে পারবো না? 


নদি : ওহ ঠিক আছে। 

( এই কথাটি বলেই নদি কান্না করতে করতে বাড়ি থেকে দৌরে চলে যায় ) 


--অন‍্যদিকে হাসিব ও নিজের ভূলটা বুজতে পেরে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে চলে যায়? 


কাব‍্য : মা আমাকে এখন তো মাপ করে দাও। 


--এমন সময় সেই মহিলাটি বলে উঠে?


--আন্টি মাপ করে দেন আপনার সন্তান কে সে অনেক ভালো ? ( আর হ‍্যা আমি আসি এখন আমার স্বামী ফোন দিয়েছিলো )


কাব‍্য : হুম ঠিক আছে। 


পরি : মা মাপ করে দাও তোমার সন্তান কে। ও ভূলটা বুজতে পারছে। 


কাব‍্য : দাওনা মাপ করে মা? 


--ঠিক আছে মাপ করবো! কিন্তু আমি এই বছরের নাতি পুতির মুখ যেনো দেখতে পাই। ( মা ) 


কাব‍্য : হুম চেষ্টা করমু? 


--হুম যা মাপ করে দিয়েছি। এখন পরির কাছে মা চা তুই। ( মা ) 


কাব‍্য : পরি আমাকে মাপ করে দাও প্লিজ?


পরি : মাপ করবো আমার ও শর্ত আছে কিছু? 


কাব‍্য : যেমন?


পরি : প্রতি শুক্রবার ঘুরতে নিয়ে যাইতে হবে। আবার আমাকে আর মাকে নিয়ে রেষ্টুরেন্টে খাইতে যাইতে হবে। 


কাব‍্য : হুম আমি রাজি?


পরি : হুম মাপ করে দিয়েছি। 


কাব‍্য : বাবা রে কি চাপ! বউ আর মায়ের? 


--এই কথাটি শুনেই সবাই হাসতে থাকে??? 


"আর এখানেই এই গল্পটি শেষ হয়। সবাই ভাবতেছেন এতো ফাস্ট কেনো শেষ করলাম আসলে এর সিজন টু আসবে কিছুদিন পরে। জানি শেষ টা ভালো হয়নি? কিন্তু সিজন টু আসলেই সব বুজতে পারবেন। এখন শেষ কারার কিছু কারন আছে। 

আল্লাহ্ হাফেজ✅



0 Post a Comment:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন