রম্য কাহিনীর
পর্ব: ৯ (শেষ)
গিয়াস উদ্দিন আহাম্মাদ
রম্য কাহিনী
পর্ব: ৯
লেখক: গিয়াস উদ্দিন আহাম্মাদ
পরিবারের সবাই এখনও আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভ্রান্ত। কিন্তু আমি কোনো এক ঝুঁকি নিয়ে বাঁচতে চাই, নিজেকে অন্যায় ভুক্তভোগী হিসেবে ভাবতে চাই না।
বাবার সঙ্গে কথা বলার সাহস জুগিয়ে, আমি সামনে গিয়ে বললাম,
“বাবা, আমি এই সিদ্ধান্তে অনড়। আমি সেই একজনকে বিয়ে করব।”
বাবার চোখে আঘাত আর হতাশা দেখা গেল, কিন্তু তিনি আমার সিদ্ধান্তের সম্মান জানালেন,
“যেখানে তোমার মন আছে, আমি তোমার পাশে আছি।”
এই কথাগুলো শুনে আমার মনে এক অদ্ভুত শক্তি আসল। সেই দিন থেকে পরিবারের সদস্যরাও ধীরে ধীরে আমার পাশে দাঁড়াতে শুরু করল।
আর সেই ছেলেটা—তারও পরিবর্তন শুরুর দিকে। ওর চোখে আগের ঘৃণা ধীরে ধীরে গলে যেতে শুরু করল।
আমাদের জীবন এখন নতুন মোড় নিচ্ছে। এই যাত্রা কঠিন হবে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমরা একসঙ্গে এই অন্ধকার পেরিয়ে আলো খুঁজে পাব।
দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, আমার ও ওর মধ্যে ছোট ছোট বিশ্বাসের সেতু গড়ে উঠতে শুরু করল। সে আমাকে বোঝার চেষ্টা করছিল, আর আমি ওর মানুষের রূপ দেখতে চেয়েছিলাম।
আমাদের কথা হলো স্বচ্ছ, কোনো ছলছুদের ছায়া ছিল না। প্রতিটি দিন আমাকে নতুন শক্তি দেয়, আর তার কাছ থেকে আমি সাহস পাই।
আমার পরিবারও ধীরে ধীরে মেনে নিচ্ছে, আর বাবার চোখে সে কঠোর কড়া ছাপ কমছে। তিনি বুঝতে শুরু করেছেন, এই বিয়ে শুধু আমার জন্য নয়, আমাদের সবার জন্য একটি মুক্তির গল্প।
আমি জানি, ভবিষ্যতে অনেক বাধা আসবে, কিন্তু এখন আমার ভেতরে এক আশার আলোকিত স্রোত বইছে।
আমি আর ভয়ে নড়ব না, আর বাঁচব নিজের মতো করে।
আমাদের গল্পের এই অধ্যায় যেন হয় বিশ্বাসের জয়।
আমাদের সম্পর্কের পথে বাধা কমেনি, তবে এখন আমরা একসঙ্গে। তার চোখে আমি পেয়েছি সেই শক্তি যা আমাকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
পরিবারের মাঝে কিছু বিরোধ এখনো রয়ে গেছে, কিন্তু তাদের রাগের পেছনে আমাকে বোঝার ইচ্ছাও লুকিয়ে আছে।
আমাদের প্রতিদিনের সংগ্রাম নতুন করে আমাকে শিখিয়েছে — যুদ্ধে জেতার জন্য দরকার ধৈর্য আর সাহস।
আমি জানি, আগামী দিনগুলো কঠিন হবে, কিন্তু আমি ভয় পাই না। কারণ আমার পাশে আছে মানুষটি, যাকে আমি বিয়ে করতে চাই।
আমাদের প্রেম শুধু একটা সম্পর্ক নয়, এটা একটি যুদ্ধে জয়ী হওয়ার গল্প।
আজ সেই দিন যখন আমি মুক্তির গান গাইতে পারছি। যন্ত্রণার আঁধার পেছনে ফেলে, সামনে দেখতে পাচ্ছি নতুন এক জীবনের আলো।
আমার বিয়েটা শুধু আমার জন্য নয়, এটা আমার স্বাধীনতার প্রতীক। সে ছেলেটার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নতুন করে গড়ে উঠেছে — বিশ্বাস আর ভালোবাসায় ভরা।
আমার পরিবার ধীরে ধীরে আমাকে বুঝতে শিখেছে, আর আমি তাদেরও ক্ষমা করেছি।
যারা আমাকে দাগিয়েছিল, তাদের সঙ্গে আমার যুদ্ধ শেষ হয়নি, তবে আমি আর তাদের ভয় পাই না। কারণ আমার ভিতরে আছে অবিচল দৃঢ়তা।
আমি জানি, জীবনের পথে অনেক বাঁক আছে, কিন্তু আমি সেই বাঁকে বাঁকে দাঁড়িয়ে থাকব, নিজের অস্তিত্বের জন্য লড়ব।
এই গল্পের শেষে আমি শুধু বলব — আমি বেঁচে আছি, স্বাধীন, শক্তিশালী এবং নিজের নিয়ন্ত্রণে।
**গল্প শেষ**
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন