আপু থেকে বউ
পর্ব ৫
লেখা: গিয়াস উদ্দিন আহাম্মাদ
[দৃশ্য ১: গুলি – অজ্ঞানতা – জেগে ওঠা]
আলো নিভে যাওয়ার পরপরই একটা বিকট শব্দ—
"ডাম!"
জারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই পড়ে যায় মেঝেতে। মাথায় আঘাত।
[দৃশ্য ২: ধোঁয়াশা আর আবির্ভাব]
চোখ খুলে দেখে, সে একটা অজানা ঘরে। দেওয়ালগুলো ধূসর, ছাদে ক্যামেরা। সামনে দাঁড়িয়ে সোহেল চৌধুরী।
সে হেসে বলে—
“সবসময় ভাবছিলে আমি শত্রু... কিন্তু শত্রুতো তোমার পাশেই ঘুমাতো, তাই না?”
জারা ঝিমঝিম চোখে তাকায়।
— “তুমি কি...?”
সোহেল হাত উঁচিয়ে থামায়।
“তোমার স্বামী... গিয়াস... সে কেবল তোমার নয়।
সে আমারও রক্ত… আমার ছেলে।”
[ক্যামেরা প্যান – দরজায় দাঁড়িয়ে গিয়াস – হাতে পিস্তল]
[দৃশ্য ৩: ফ্ল্যাশব্যাক – গিয়াসের শ্যাডো পাস্ট]
পাঁচদিন আগে...
রাতে গিয়াস সেই চাবি ব্যবহার করে সোহেলের পুরনো অফিসে ঢুকে পড়ে।
সে দেয়ালের পেছনের সিন্দুক থেকে পায় একটি পুরনো চুক্তিনামা।
“Sohail & Rahmat Group – Partnership Deed – Confidential”
(রহমত = গিয়াসের বাবা)
গিয়াস থমকে যায়।
— “তাহলে বাবা আর সোহেল একসাথে কাজ করত?”
— “আর এখন... কেউ কাউকে বিশ্বাস করত না।”
ডায়েরির পেছনে লেখা:
“Sohail will destroy me... but not my son.”
[দৃশ্য ৪: সুমিতের খেলা জমে]
সুমিত, পুলিশের ফাইল ঘেঁটে, জারাকে দেখায়:
— “দেখুন, গিয়াসের নামে ছোটবেলায় এক মারামারির কেস ছিল। ছেলেটিকে কোমায় পাঠায়!”
জারা স্তব্ধ।
পেছনে সুমিত এক সিনিয়র অফিসারকে মেসেজ করে:
“স্যার, জারা নিজেই গিয়াসকে কভার করছে। আর্মড ইউনিট পাঠান।”
সুমিত ক্যামেরার সামনে শুদ্ধ, কিন্তু ভিতরে মাফিয়ার চৌকস কুকুর।
[দৃশ্য ৫: জারার মানসিক ভাঙন]
জারা একসময় গিয়াসের বানানো সিক্রেট রুমে ঢোকে।
সেখানে দেয়ালে সে দেখে—
নিজের ছবি, GPS ট্র্যাকিং ডেটা, এক্সিডেন্ট লোকেশন... এমনকি সেই সিলেটের ছবিও যেটা তার অজান্তে তোলা।
সে দমবন্ধ হয়ে পড়ে।
হঠাৎই দেয়ালের ছায়ায় হাসান (সোহেলের মৃত ভাই) দাঁড়িয়ে।
“তুই এখনও গিয়াসকে বিশ্বাস করিস?
সে তো শুধুই একটা ছদ্মবেশ!”
জারা চিৎকার দিয়ে উঠে পড়ে—কিন্তু কেউ নেই।
[দৃশ্য ৬: ক্লাইম্যাক্স – সত্য উন্মোচনের মুহূর্ত]
ফের ফিরে আসা সেই ঘরে—
সোহেল বলে,
— “গিয়াস জানে না আমি ওর বাবা। সে কেবল প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল বাবার খুনের। কিন্তু এখন সময় খেলাটা শেষ করার।”
গিয়াস ধীরে বলে,
— “আমি জানতাম সব। কিন্তু আমি জারাকে ভালোবেসে ফেলেছি।”
সোহেল হেসে ওঠে—
— “তোমার ভালোবাসা... ওকে বাঁচাবে না।”
সোহেল পকেট থেকে একটা রিমোট তোলে।
— “তোমার সেই সিক্রেট রুম, যেটা তুমি জারার জন্য বানিয়েছো?
সেখানে আমি আগে থেকেই একটা বোমা বসিয়েছি।”
“টাইমার চলছে—৩ মিনিট বাকি।”
[শেষ দৃশ্য – পিস্তল উঠলো]
গিয়াস পিস্তল তোলে।
দেখায় সে জারাকে নয়, তাক করেছে সোহেলের দিকে!
“তোমার সময় শেষ, আব্বা...”
"ডাম!!"
(স্ক্রিন ব্ল্যাক)
“জারা চোখ মেলে দেখে—গিয়াসের পিস্তল তার দিকে না… সোহেলের দিকে তাক করা!”
🔥 পাঠকদের জন্য পরের পর্বে কিছু প্রশ্ন:
-
গিয়াস কি আসলেই গুলি করল? কাকে?
-
বোমা কি সত্যি ফাটবে?
-
জারা কি গিয়াসকে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা করতে পারবে?
-
সুমিত কি শেষ পর্যন্ত ধরা পড়বে না?
-
সোহেল যদি গিয়াসের বাবা হয়, তাহলে সে কেন নিজের ছেলেকে মারতে চায়?
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন