নিষ্ঠুর ভালবাসা পর্ব ২ সাহিত্য ডাইরি

নিষ্ঠুর ভালবাসা 

পর্ব ২

সাহিত্য ডাইরি 



আরমান মায়াকে এমনভাবে কিস করতে শুরু যে মায়ার ঠোঁট কেটে রক্ত বের হয়ে যাই। যেনো পুরো রাগটা মায়ার ঠোঁটের উপর ঝাড়ছে। কিন্তু মায়া কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না। চুপচাপ সহ্য করে নেয়। এরপর ওরা মত্ত হয় সেই আদিম খেলায়। যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু এতে কোনো ভালোবাসা ছিল না। ছিল শুধু আরমানে রাগ। যা মায়ার শরীরের উপর দিয়ে বয়ে গেলো। মায়া হাসিমুখে সব কিছু সহ্য করছিল, সে অনেক কষ্টে পাচ্ছিল তারপরও সে তার মুখে তার ব্যাথা প্রকাশ করতে দিচ্ছিল না। আরমান সারাটা রাত মায়ার সাথে কাটাই। 


__________________


সকাল বেলা……


আরমান শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে। তার পরে মায়া ওয়াশরুমে যায় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। ভিতরে যেতেই মায়ার সমস্ত যন্ত্রণা এবং কষ্ট তার চোখের অশ্রু হয়ে ঝরতে থাকে। মুখের উপর হাত চাপা দিয়ে নীরবে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ঝরনার জল তার শরীরে পড়ছিল, তার শরীরে লাল এবং নীল চিহ্ন ছিল, যা বোঝায় যে আরমান কতটা নিষ্ঠুরভাবে তাকে আঁচড়ে খেয়েছে। তার শরীরে থেকে বেশি আত্মায় ব্যাথা লেগেছে। মায়া তার কণ্ঠস্বরকে চাপা দিয়ে কাঁদতে থাকে, কিছুক্ষণ পরে ব্যথাযুক্ত শরীর নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে।


আরমান পোশাক পরে রেডি হয়ে নিয়েছে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। যাওয়ার আগে সে তার কোট থেকে একটি চেক বের করে মায়ার কাছে এসে চেকটি মায়ার দিকে ছুড়ে দেয়, "এই ধরো, তোমার রাতের সেবার মূল্য।"


মায়া, নিজের ভেতরের কষ্ট লুকিয়ে, নির্লজ্জভাবে চেকটা তুলে নিয়ে তাকায়। চেকে লেখা পরিমাণ দেখে মায়ার ঠোঁটে হাসি ফুটে ওঠে।


আরমানের দিকে তাকিয়ে বলল, "ধন্যবাদ স্যার, পরিমান দেখে মনে হচ্ছে আপনি আমার সার্ভিস খুব পছন্দ করেছেন, অবশ্যই আবার আসবেন।"


আরমান মায়ার চুল মুঠো করে ধরে একটু কাছে নিয়ে আসে, এতে মায়া ব্যাথা পাই কিন্তু মুখে প্রকাশ করে না। আরমান রাগে দাঁত কিড়মিড় করে বলল, "প্রশ্নই আসে না, এই আরমান শাহরিয়ার একবার যেই জিনিস ব্যবহার করে তাতে দ্বিতীয়বার আর হাত দেয় না।”


মায়া একটু মন খারাপের ভান করে বলে, , "ওহ, এর মানে আমি আর আপনার সাথে রাত কাটানোর সুযোগ পাব না। সমস্যা নেই, আপনি না হলে অন্য কোন মোটা পার্টি ঠিকই পেয়ে যাবো, শহরে এমন লোকের অভাব নেই, যাইহোক, আজ রাতে আমার আরেকজন ব্যবসায়ীর সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে, তার জন্যও প্রস্তুত হতে হবে, একটি সুন্দর পোশাক কিনতে হবে,তার পরে অনেক প্রস্তুত হতে হবে। আমি ব্যস্ত, আপনার সাথে দেখা করে ভালো লাগলো মিস্টার আরমান শাহরিয়ার।"


এই বলে মায়া চেক নিয়ে রুম থেকে চলে যায়।


আজ রাতে অন্য কারো সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট?? মায়ার এসব কথা শুনে আরমান অবাক হয়ে গেল। কেন জানি ওর খুব রাগ লাগছিল। এতে আরমান কনফিউজড হয়ে বিরক্ত নিয়ে মনে মনে বলে, “ও সারা শহরের মানুষ নিয়ে রাত কাটাক তাতে ওর কি?”


এই ভেবে আরমান সেখান থেকে সোজা তার অফিসের জন্য রওয়ানা দেয়। 


.._.._.._.._.._.._.._.._.._.._.._.._.._.._.._.._.._


ক্লাব ছাড়ার পর মায়া সোজা হাসপাতালে যায়, তার ফোনে অনেক মিসড কল ছিল।


মায়া তারাহুরো করে একজন ডাক্তারের কেবিনে ঢুকে যায়। মায়াকে দেখে ডাক্তার বলেন, "আরে আপনি এসেছেন? আমরা আপনাকে অনেকবার ফোন করেছি, আপনি আমাদের ফোন ধরলেন না।"


ক্ষমা চেয়ে মায়া খানিকটা নার্ভাস কন্ঠে বলল, "আমি দুঃখিত ডাক্তার, আমি একটা কাজে আটকে গিয়েছিলাম। ডাক্তারবাবু ওনি কেমন আছেন?”


ডাক্তার মায়াকে বললেন, "আসলে গতরাতে ওনার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল, বারবার আপনার সাথে দেখা করতে চাইছিল। তাই আপনাকে এতবার ফোন করেছি।"


ডাক্তারের কথা শুনে মায়ার হৃৎপিণ্ড হঠাৎ থেমে যায়, "এখন কেমন আছেন ডাক্তার?"


ডাক্তার মায়াকে শান্ত করে উত্তর দিলেন, "উনি এখন ভালো আছেন, চিন্তা করবেন না।"


এই কথা শুনে মায়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে, ডাক্তার মায়াকে বললেন, "ওনার কেমোথেরাপি শুরু করতে হবে, ওনি ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে আছে, আমি আপনাকে কোন মিথ্যা সান্ত্বনা দিতে চাই না, আমরা জানি তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি এত টাকা খরচ করতে চান?"


কথাটা শুনে মায়ার চোখে পানি চলে আসে, "ডাক্তার কি বলছেন এসব, ওনাকে ছাড়া এই পৃথিবীতে আমার আর কেউ নেই, আমি ওনাকে হারাতে চাই না।" 


ডাক্তার মায়াকে শান্ত করে বলেন, "আমি বুঝতে পেরেছি, চিন্তা করবেন না, উপর ওয়ালার উপর ভরসা করুন। ওনার কেমোথেরাপি শুরু করার সময় হয়ে গেছে, আপনি বিলটা জমা করে দিন। আর হ্যাঁ ওনার কিন্তু অনেক দামি ওষুধ পত্র লাগবে তাই সবসময় টাকা রেডি রাখবেন।


মায়া একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে মাথাটা একটু নেড়ে বলল, "হ্যাঁ ডাক্তার সাহেব, চিন্তা করবেন না, আপনি শুধু চিকিৎসা শুরু করুন, আমি সব খরচ বহন করব।" এই কথা শুনে ডাক্তার মৃদু হেসে মাথা নাড়েন।


___________________


মায়া হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে যায়, সেখানে একজন লোককে শুয়ে থাকতে দেখা যাই। ওনাকে বেশ প্রাণহীন দেখাচ্ছিল, মাথায় কোনো চুল নেয়। জামা পড়ানো না থাকলে শরীরের সব হাড় গোনা যাবে। ওনাকে দেখতে অবিকল একটা মৃতদেহের মতো। এই অবস্থায় লোকটিকে দেখে মায়া খুব কষ্ট পাচ্ছিল। কারণ সেই লোকটি আর কেউ নয় তার জন্মদাতা পিতা, যিনি ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছিল।


ধীরে ধীরে ক্যান্সারের কারণে তার শরীর সম্পূর্ণ ফাঁপা হয়ে গেছে, মায়া তার সাহস জোগাড় করে এবং তার বাবার বেডের কাছে এগিয়ে যাই, হাসির আড়ালে তার মুখের দুঃখ লুকিয়ে রাখে। বিছানায় নির্জীব শুয়ে থাকা লোকটি মায়াকে দেখে যেন তার শরীরে প্রাণ ফিরে আসে, চোখ চকচক করে ওঠে, সে হাত এগিয়ে দিয়ে মায়াকে কাছে আসতে ইশারা করে।


মায়া কাছে এসে লোকটির হাত ধরে বেডের কাছে চেয়ারে বসে, "পাপা, কেমন আছো তুমি? জানো, আজ আমি ডাক্তারের সাথে দেখা করেছি, ডাক্তার কি বলেছে জানো? তিনি বললেন যে তুমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। ঠিক আগের মতো।"


লোকটা জানতেন মায়া তাকে মিথ্যা শান্তনা দিচ্ছে। সে যে অবস্থায় আছে, সেখান থেকে শুধু মৃত্যুর দিকে যেতে পারে। জীবনে বেঁচে থাকার দিকে নয়, তবুও মায়া তাকে উৎসাহ দিচ্ছিল, ওনি জানতেন মায়া খুব কষ্ট পাচ্ছে আর সেই কষ্ট তার হাসির আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে। বাবা তো তাই সব বুঝেন। ওনি নিজের জন্য নয়, তার মেয়ের জন্য চিন্তিত ছিল, মায়া দেখতে খুব সুন্দর এবং নিষ্পাপ ছিল, জানেননা ওনি থাকলে ওনার মেয়ে এই দুনিয়ায় কিভাবে বাঁচবে।


ওনার নাম আশরাফ তালুকদার। মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ তিনি। ওনার বাবা অর্থাৎ মায়ার দাদা এবং আরমানের দাদা ছিলেন স্কুলের বন্ধু।

অনেক আগেই তারা দুজনেই মায়া আর আরমানের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিল। আরমানের পরিবার জোর করেই মায়াকে আরমানের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। আর আরমান বিয়ে করে নিলেও তা মানতে রাজি ছিল না। যেহেতু তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়েটা দেওয়া হয়েছিল। মায়াকে ওদের বাড়িতেও আনতে দেয়নি এই বলে যে “ওই মেয়ে যদি এই বাড়িতে আসে তাহলে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবো।


আরমানের দাদা জানতেন মায়া ভালো মেয়ে, আর আরমানও কেমন ছেলে তা তিনি ভালোই জানতেন। তাই ওনার মনে হয়েছিল মায়াই একমাত্র আরমানকে সামলাতে পারবে।


মৃত্যুর আগে আরমানের দাদার শেষ ইচ্ছা ছিল দুজনের বিয়ে হোক। দাদার শেষ ইচ্ছায় বাধ্য হয়ে আরমান মায়াকে বিয়ে করে নেয় কিন্তু তার মুখও দেখেতে চাইনি। বিয়ের পরপরই আরমানের দাদা মারা যান। 


আশরাফ:- আমাকে মিথ্যে সান্ত্বনা দিও না মামনি, আমি জানি আমার হাতে বেশি সময় নেই। পৃথিবীর কোনো চিকিৎসাই আমাকে সারিয়ে তুলতে পারবে না। আমি আমার জীবন নিয়ে চিন্তিত নই, আমি তোমাকে নিয়ে চিন্তিত। তুমি আমাকে এত দামী হাসপাতালে ভর্তি করেছো আমার চিকিৎসার জন্য কিন্তু এখন তার খরচ তুমি কিভাবে বহন করবে? তুমি আমায় বাড়ি নিয়ে চলো। আমি তোমার সাথে সময় কাটাতে চাই। আমি এই হাসপাতালে মরতে চাই না।"


মায়া সাথে সাথে তার বাবাকে বাঁধা দিয়ে বললো, "পাপা, থামো তুমি, তোমাকে কতবার বলেছি এমন ফালতু কথা বলবে না, তোমার কিছুই হবে না। তুমি সুস্থ হয়ে যাবে, ডাক্তার আমাকে বলেছে সে তোমার উপর নতুন ওষুধ ব্যবহার করছে, যেগুলো আস্তে আস্তে কাজও করছে। এখন তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে, বিশ্বাস করো।"


 আশরাফ:- "এত টাকার ব্যবস্থা করছ কোথা থেকে তুমি? কিছু ভুল কাজ….." 


আশরাফ এই কথা বলতেই মায়া তাড়াতাড়ি উত্তর দেয়, "না পাপা, আমি একটা বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছি, এই চাকরির ভিত্তিতে তোমার চিকিৎসার জন্য লোন নিয়েছি।

তুমি চিন্তা করো না, তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে, তারপর আমরা দুজনে বাড়ি যাব।"


আশরাফ একটু দুঃখী হয়ে যায়, মায়া তার পাপাকে দুঃখিত দেখতে পারে না, সে তার পাপার হাতে হালকা চুমু খেয়ে বলে, "পাপা, তুমি জানো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি, তোমার কিচ্ছু হতে দেব না, কিছু না।" আশরাফ হালকা হেসে মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।


বাবাকে এমন নিষ্প্রাণ অবস্থায় দেখে মায়ার খুব কষ্ট হয়, আল্লাহই জানে তাকে নিয়ে কি খেলা খেলেছে, ছোটবেলায় তার মা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে, বিয়েও ভেঙে গেছে। এখন তার বাবাই তার শেষ ভরসা, আল্লাহতায়ালা এখন তাকেও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং ও ওর বাবাকে বাঁচানোর জন্য নিজের কতটা মূল্যবান জিনিস হারিয়েছে তা একমাত্র ওই জানে।


মায়া মনে মনে বলে, "I am sorry papa, আমি কি করছি তা বলতে পারব না। তবে তোমার জীবন বাঁচাতে আমি যেকোনও প্রান্তে যেতে প্রস্তুত। আমি জানি আমি যা করছি তা খুবই অন্যায়, যেই রাস্তায় আমি নেমেছি এতে আমার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। এবং আমি কখনই এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারব না, তবে আমিও তোমাকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখতে পারব না, প্লিজ তুমি আমায় ক্ষমা করে দিও।"


পাপাকে খাবার ও ওষুধ দেওয়ার পর মায়া তার বাড়িতে ফিরে আসে। প্রথমেই সে একটা পেইন কিলার খেয়ে নেয়। কারণ তার শরীরে প্রচুর ব্যাথা হচ্ছিল। আর হবে নাই বা কেন আরমান তো পুরো পশুর মতো ব্যবহার করেছে ওকে।


ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পর মায়া হালকা কিছু খায় এবং তারপর বিছানায় শুয়ে পড়ে, বিছানায় শুয়ে সে ক্লান্ত এবং যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। 


🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸🔹🔸


রাতে মায়া রেডি হয়ে ক্লাবে পৌঁছালে ক্লাবের মালিক মায়াকে তার কাছে ডাকে। মায়া ক্লাবের মালিকের কাছে পৌঁছে বলল, "স্যার, আমাকে আপনি ডেকেছিলেন?”


ক্লাবের মালিক মায়ার দিকে তাকিয়ে বলেন, আরে মায়া, তুমি এসেছ ভালোই হলো, আমি তোমার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম। তোমার ফোনে ঠিকানা পাঠিয়েছি, আজ রাতে তোমাকে ওখানে যেতে হবে।


মায়া ঠিকানা দেখার সাথে সাথে অবাক চোখ তাকায়, "শাহরিয়ার ম্যানশন!!" 


ক্লাবের মালিক একটু উত্তেজিত হয়ে বললেন, "জানো, তোমার সার্ভিস তার এত ভালো লেগেছে যে তোমাকে পুরো এক মাসের জন্য ভাড়া করে নিয়েছে। তুমি তো লটারি জিতেছ মায়া, অভিনন্দন, এখন তুমি টাকার পুকুরে গোসল করবে।"


মায়া যেন আকাশ থেকে পড়লো। কারণ সে এটা মোটেও আশা করেনি। মায়াকে অবাক হতে দেখে লোকটি বলল, "কি খুব অবাক হয়েছ তো? হওয়ারই কথা।" 


মায়া যেনো নিজের হুঁশ ফিরে পেলো, "স্যার, একমাস? খুব বেশি হয়ে গেল না?"


ক্লাবের মালিক চোখ ঘুরিয়ে বললেন, "তো?? এতে আশ্চর্য হওয়ার কি আছে? মেয়েরা এই সুযোগের জন্য মুখিয়ে থাকে। আর তুমি এতো ভালো সুযোগ পেয়েও খুশি নও? যাও তাড়াতাড়ি ওই অ্যাড্রেসে চলে যাও। আমি ওনার থেকে টাকা নিয়ে নিয়েছি। এখন তোমাকে যেতেই হবে নাহলে আমার ব্যাবসা লাটে উঠে যাবে।


লোকটার কথা শোনার পর মায়া শুধু মাথা নাড়ল, সে তখনও বিভ্রান্ত এবং অবাক ছিল। কিন্তু তার অর্থের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তাকে এই কাজটা করতে হচ্ছে।


মায়া মনে মনে বলে, “জানি না আমার ভাগ্যে আর কি কি আছে।”


চলবে….??


🔴 পরবর্তী পর্ব পড়তে পেজটিকে ফলো করে রাখুন….

0 Post a Comment:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন